যে কোন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যাক্তিই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর প্রধান উপায় হিসেবে চিহ্নিত করবেন পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম ইত্যাদিকে। কিন্তু এ লেখায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যাদের সুপ্ত গুণাগুণ গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা,
যা নিয়মিত অনুসরণ অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সক্ষমতাকে।
গান শুনুন দিনের কিছুটা সময়
দিনের কিছুটা সময় নিয়মিত গান শোনা বাড়িয়ে তোলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে। এমন গান নির্বাচন করুন যা আপনার মনকে প্রশান্ত করে তোলে। আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশে ভাল লাগা বোধ জন্মায় তাকে উজ্জীবিত করে গান। তাই নিজের প্রিয় গানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে নিন আজই।
জোরালো শব্দ থেকে দূরে থাকুন
তীব্র শব্দ মাংসপেশিতে টান, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত পরিবাহী নালীর সংকোচন এমনকি হজমের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। কর্নেল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে কাজ করেন, তাদের হৃদরোগ হবার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেকটাই কম থাকে।
বন্ধু এবং প্রিয়জনের সংস্পর্শে থাকুন নিয়মিত
বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আড্ডা, প্রিয়জনের সাথে ঘুরে বেড়ানো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, যারা অনেক বেশি এবং বিভিন্ন চরিত্রের মানুষের সংস্পর্শে থাকেন, তাদের সাধারণ সর্দি,জ্বর ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া প্রিয়জনে বা বন্ধুদের স্পর্শ আমাদের শরীরের এমন কিছু কোষকে উজ্জীবিত করে, যাদের কাজ হল বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করা।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
যারা ইতিবাচক চিন্তা করেন, যে কোন জিনিসের ভাল দিকটা দেখার চেষ্টা করেন তাদের গড় আয়ু নিরাশাবাদী লোকদের তুলনায় ১০-১২ বছর বেশি হয়। যারা জীবনের নেতিবাচক দিকটাই আগে দেখেন, নার্ভাস এবং রাগান্বিত থাকেন তাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
রাতে বাতি নিভিয়ে ঘুমান
আমাদের শরীর শুধু মাত্র অন্ধকারেই মেলাটোনিন নামক একধরণের হরমোন তৈরি করে , যার অন্যতম কাজ হলো বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করা। অপর্যাপ্ত ঘুম, কিংবা রাতে বেশি আলো জ্বালিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস এই মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়। তাই রাতে ঘুমানোর সময় ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন ।
হাসুন প্রাণ খুলে
যখনই সুযোগ পাবেন খুব প্রাণ খুলে হাসার চেষ্টা করুন । কারণ প্রথমত হাসি আমাদের মনকে সতেজ আর উৎফুল্ল রাখে, এছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধী এন্টিবডির সংখ্যাও বাড়িয়ে তোলে, আমাদের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্ত পরিবাহী নালীগুলোকে প্রসারিত করে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাণখোলা হাসি অপরিহার্য। যার ফলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হবে আরো কার্যকর।